প্রচন্ড তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারনে সাতক্ষীরার তালায় পানচাষীদের মাথায় হাত উঠে গেছে। করোনা মহামারীর মধ্যে তাই অতি কষ্টে জীবন যাপন করছেন এ সকল চাষীরা। তালা উপজেলায় এ বছর ৪২৫ হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়েছে।
এলাকার চাহিদা মিটিয়ে পান ঢাকা খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে চালান দেওয়া হয়। পাটকেলঘাটার পান ঢাকায় বেশ সমাধৃত। এদিকে অনাবৃষ্টির কারনে উপজেলার সর্বত্রই পানের বরজ শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। প্রকৃতির এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের কোন উপায় নেই।
অনেকে সেচ দিয়ে কোন রকম বরজ বাচিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। বৃহস্পতিবার কথা হয় পাটকেলঘাটার কুমিরা গ্রামের পান চাষী অর্জুন মন্ডল ও গোষ্ঠ মন্ডলের সাথে। তারা জানালেন আমাদের পানের উপর নির্ভর করে সংসার চলে।
কিন্তু প্রচন্ড তাপদাহের কারনে আমাদের বরজ শুকিয়ে গেছে। তাছাড়া আম্পানের ঝড়ে আমাদের পানের বরজের ব্যাপক ক্ষতি করে দেয়। আশাছিল সেই ক্ষতি পার করে আমরা লাভের মুখ দেখব সেটা তো হচ্ছেই না বরং তাপের প্রভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে ক্ষেতের পান। পাটকেলঘাটার পদ্মঝাল ও ছাচি পান বেশ জনপ্রিয়। এ সকল পান খিলি হিসাবে বিক্রয় করা হয়।
ইসলামকাটি গ্রামের সুধাংশু জানান, এক কাউন পান চাষ করতে ২লক্ষ টাকা খরচ হয়। তার পর নতুন বরজ থেকে পান তুলতে প্রায় দুবছর সময় লাগে। তবে একটি পানের বরজ একবার রোপন করলে ১০ বছর পর্যন্ত তা থেকে পান সংগ্রহ করা যায়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে মুলধন পর্যন্ত খোয়া যাচ্ছে।
যে কারনে আমরা নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছি। তিনি আরও জানান একপন পান ৫০টাকা থেকে শুরু করে ২শত টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করা হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে সব কিছু বন্ধ। লোন নিয়ে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা বেগম জানান প্রায় ৭/৮মাস বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারনে পানসহ সকল চাষে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতির এ খেলা সকলকে মেনে নিতে হবে।