শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৩১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সর্বশেষ সংবাদঃ
শ্যামনগরে হাইকোর্টের নির্দেশনাকে অবজ্ঞা করে মানববন্ধন শ্যামনগর রাতের আঁধারে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন নূরনগরে দৃষ্টিপাত সম্পাদকের সহধর্মিনী আনোয়ারা বেগম স্মরণে কোরআন খতম ও দোয়া অনুষ্ঠিত শ্যামনগরের উপকূলীয় কালিন্চী গ্রামে চাঁদাবাজরা বেপরোয়া দৃষ্টিপাত সম্পাদকের সহধর্মিনী আনোয়ারা বেগম এর মৃত্যুতে শ্যামনগর দৃষ্টিপাত পরিবারের শোক উস্কানিমূলক কথার প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল কর্মী পিটিয়ে আহত করলেন দুই চিংড়িঘের কর্মচারীকে শ্যামনগরে র‍্যাবের অভিযানে ৪৭২৫ কেজি চিনি যুক্ত ভেজাল মধু উদ্ধার মামলা থেকে জামিন নিয়ে দুর্বৃত্তরা রাতের অন্ধকারে চিংড়ি ঘেরের বসতবাড়ী আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিলো শ্যামনগরে মৎস্য প্রকল্পের গেট ভাংচুরসহ লুটপাটের অভিযোগ দুর্বৃত্তরা পরিবারের সবাই কে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করতে চেয়েছিল সাতক্ষীরাতে প্রদীপ্ত প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে আলোচনা সভা এবং খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠান শ্যামনগরে খাসজমিতে ভূমিহীনদের অধিকার বিষয়ে সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে কর্মশালা সাংবাদিক সামিউল মনিরের আম্মার দাফন সম্পন্ন :পারিবারিক গোরস্থানে সমাহিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা স্মরণে শ্যামনগরে আলোচনা সভা ও প্রতিবাদ সমাবেশ সাতক্ষীরার শ্যামনগরে লায়ন্স ক্লাবের উদ্যোগে অসহায়দের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শ্যামনগরে তিন দিন ব্যাপী শিক্ষকদের জীবন দক্ষতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ সমাপনী সাতক্ষীরাসহ দেশের ৬৩ জেলায় জঙ্গীবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধে শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের মানববন্ধন কাশিমাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সম্পাদক আনিসুজ্জামান বাবলু আর নেই ১৫ ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিতঃ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ১৭ নীলডুমুর বিজিবি ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে অসহায়-দুঃস্থদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
Notice :
বিজ্ঞপ্তি : জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকা সুন্দরবন নিউজ এর জন্য সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কিছু সংখ্যাক সংবাদকর্মী আবশ্যক। 01641-530024

সাপাহারে গরীবে নেওয়াজ নার্সিং হোম ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারের নানাবিধ অনিয়ম পর্ব-১

প্রতিবেদকের নাম / ১৩০ সময়ঃ
নিউজ আপঃ মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ৪:২২ অপরাহ্ণ

আবু বক্কার,সাপাহার নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহারে অবস্থিত গরীবে নেওয়াজ নার্সিং হোম, ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে নানাবধি অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র অনুযায়ী জানা গেছে, উপজেলা সদরের হাসপাতাল রোডে অবস্থিত গরীবে নেওয়াজ নার্সিং হোম কিèনিক এন্ড ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার। এই ক্লিনিকের মালিক ডাঃ নুর মোহাম্মদ নুরু। দীর্ঘদিন আগে তিনি সাপাহারে এসে গার্লস স্কুল সংলগ্ন একটি বিল্ডিংয়ে তার ক্লিনিক ব্যাবসা চালু করেন। পরবর্তী সময়ে নিজের আচার আচরণের জন্য স্থানীয় লোকজনের চোখে একজন অপছন্দনীয় ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করেন। সেসময় থেকে তার নানারকম অনিয়মের অভিযোগ তোলেন স্থানীয় লোকজন সহ ভুক্তভুগীরা। আজো পর্যন্ত সে ডাক্তার কোথা থেকে এসেছে , তার বাড়ী কোথায় সে নিয়ে নানা প্রশ্ন জনমনে রয়েই গেছে। ওই সময় স্থানীয় দুইজন ভালো মাপের সাংবাদিক তার অনিয়মের সংবাদ সংগ্রহের জন্য গেলে তাদেরকে ফাঁসিয়ে থানায় একটি চাঁদাবাজী মামলা দায়ের করে ওই ডাক্তার । পরে তিনি চাঁদাবাজি প্রমান না করতে পয়ে থানায় অপমানিত হন। তার ক্লিনিকে গ্রাম থেকে গরীব অসহায় মেয়েদের নিয়ে এসে নার্স বলে চালিয়ে নিতেন ডাক্তার নূরু। কিন্তু সে মেয়েগুলো কেউ কেউ স্কুলের বারান্দা পর্যন্ত মাড়ায়নি বলে জানান একটি গোপন সূত্র। যত্র তত্র ভাবে নিজেই অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে কোন রকম অপারেশন শেষ করে ডাক্তার নুরু। তার পর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কোন নার্স ছাড়াই অশিক্ষিত , অর্ধ শিক্ষিত মেয়েদের দিয়ে সেবা চলতো ক্লিনিকের রোগীদের। যেখানে একজন স্বীকৃত অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার দিয়ে অজ্ঞান ম্যানেজ করার কথা সেখানে নুরু কোন শক্তিতে একাই রোগীদের জীবন নিয়ে খেলা করছেন এমনটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে।
এছাড়াও রোগীদের নিকট উচ্চ মূল্য ছাড়া অপারেশন করেননা ডাক্তার নূরু। এমনকি স্বল্প মূল্যের ঔষধ দিয়ে কোন রকম বেডে রেখে পরে ছাড়পত্রে লেখেন উচ্চ ও নামকরা কোম্পানীর দামী ঔষধ। অপারেশন পরবর্তী সময়ে রোগীকে একটি এমোক্সাসিলিন , একটি ডাই ক্লোফেনাক, একটি ওরট্যাক বা নিওট্যাক ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় রোগীদের । পরবর্তী সময়ে খাবার জন্য ওই একই গ্রুপের ঔষধ দেওয়া হয় বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু রোগীর লোকজন।
বর্তমানে একটি স্বীকৃত ক্লিনিকে ৩জন সার্বক্ষনিক ডাক্তার, ১ জন অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার, ৩ জন ডিপ্লোমা নার্স, ২ জন সহকারী নার্স, ৩ জন আয়া, ৩ জন সুইপার, ৩ জন ওয়ার্ডবয়, একজন ম্যানেজার থাকার কথা থাকলেও নূর মোহাম্মদ ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী ছাড়া একটি কাকপক্ষীও নেই ওই ক্লিনিকে বলে জানা গেছে। কাগজ কলমে নার্স ডাক্তার থাকলেও বাস্তবে তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে চালাচ্ছেন অপারেশন ও রোগীর সেবাদানের কাজ। এভাবে ক্লিনিকে জনবল সংকট থাকলে রোগীর বেহাল দশা এমনকি মৃত্যু হতে পারে বলছনে বিশেষজ্ঞরা। যা এর পূর্বে ওই ক্লিনিকে ঘটেছে। তার অপকর্মের কোন কথা কেউ বলতে গেলেই তাদেরকে কোন এক অপশক্তির ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখেন ওই ডাক্তার।
এছাড়াও প্যাথলজি, আলট্রাসনোগ্রাফী ও এক্সরে মেশিন একাই চালান ডাক্তার নুর মোহাম্মদ। এছাড়াও প্যাথলজি, এক্সরে ও আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন একাই চালান ডাক্তার নুরু। এ বিষয়ে ধারাবাহিক সংবাদ থাকছে দ্বিতীয় পর্বে।
এ বিষয়ে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডাঃ রুহুল আমিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, “গরীবে নেওয়াজ ক্লিনিকের ডাক্তারের কাগজপত্রাদি ঠিক আছে। তবে আমরা একদিন অভিযান পরিচালনা করতে তার ক্লিনিকে গেলে সেখানে কোন নার্স বা অন্য কাউকে পাওয়া যায়নি”।


এই বিভাগের আরও খবর

জেনে নিন এক ক্লিকে বিভাগের সবখবর